জিম্বাবুয়েতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে বন্দী করার বিষয়টি ‘সেনা অভ্যুত্থান’ এর মত মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।

সংস্থার প্রধান আলফা কন্ডে অবিলম্বে সংবিধান পুন:প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন। খবর- বিবিসির।

যদিও কোন ধরণের ‘অভ্যুত্থান’ এর অভিযোগ নাকচ করে সেনা বাহিনী বলছে, মুগাবে নিরাপদে আছেন। এবং প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকা অপরাধীদের শায়েস্তা করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে এখন মুগাবের স্থলাভিষিক্ত কে হবে, তা নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাবার পর থেকে, অর্থাৎ ১৯৮০ সাল থেকে বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন মুগাবে। ইতিমধ্যেই মুগাবের স্ত্রী গ্রেস মুগাবে নামিবিয়াতে পালিয়ে গেছেন বলে স্থানীয় খবরে বলা হচ্ছে। তবে, মুগাবেকে গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ এখনো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সেনা অভ্যুত্থানকে অনিচ্ছা ও অনীহা নিয়েই স্বাগত জানাচ্ছে জিম্বাবুয়ের সাধারণ মানুষ। জিম্বাবুয়ের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।