নিয়মানুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০১৯ সালে। নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় দুই বছর। কিন্তু এরই মধ্যে সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনের কার্যক্রমে আগেভাগেই ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামের মুন্সী পরিবারের সন্তান আরিফুর রহমান দোলন। আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এরই মধ্যে নানা সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে ক্রমেই জনপ্রিয় উঠছেন দোলন।

অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাটাইমস২৪ডটকম এবং সাপ্তাহিক এই সময় এর সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন নিয়মিত মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গায় সভা-সমাবেশ করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। একইসঙ্গে আগামীতে নিজেও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করছেন। ফলে আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে ফরিদপুর-১ আসনে।

আরিফুর রহমান দোলন স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে নাম লেখান। ১৯৮৮ সালে আলফাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাস শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হন। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় অবস্থানকালে পশ্চিমবঙ্গে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের আদর্শের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ছাত্রলীগ পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দোলন।

নানা সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে ক্রমেই জনপ্রিয় উঠছেন দোলন। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমশিক্ষাজীবন শেষে সাংবাদিকতাকে সার্বক্ষণিক পেশা হিসেবে নেওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হিসেবেই লম্বা সময় কাটাতে হয়েছে আরিফুর রহমান দোলনকে। তবে সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কলম ধরেছেন। মহাফেজখানায় লুকিয়ে রাখা দুষ্প্রাপ্য ‘একাত্তরের গোপন দলিল’ তুলে এনেছেন তিনি। যা বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।

দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা ও সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন দোলন। তারপর যোগ দেন দৈনিক প্রথম আলোয়। পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিনিধি, উপ-প্রধান প্রতিবেদক এবং সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন টানা ১০ বছরের বেশি সময়।

পরে যোগ দেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাকালীন উপ-সম্পাদক হিসেবে। তারপর দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

আরিফুর রহমান দোলন সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যও চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিউ ভিশন রিসোর্সেস লিমিটেড, নোভে কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ও অরেঞ্জ কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া এই সময় পাবলিকেশন্স, নিউ ভিশন এনার্জি এবং পাওয়ার এর কর্ণধার।

তিনি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। বেগম শাহানারা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, পরিবেশ সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) স্থায়ী সদস্য এবং শেখ জামাল ক্লাবের সদস্য।

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘পূর্বপুরুষ থেকেই আমাদের পরিবার সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে আমি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে সামাজসেবার সঙ্গে জড়িয়ে আছি’।

মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তায় অকৃপণ দোলন। তিনি বলেন, ‘এখন এ এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছাত্রজীবন থেকে বুকে ধারণ করে আছি, সেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হয়ে কাজ করছি’।

দোলন বলেন, ‘জীবনে বহুপথ হেঁটেছি একা একা। এবার আমার জন্মভূমি আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালীর মানুষের পাশে থেকে জীবনের বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দিতে চাই। এখানকার মানুষের চাওয়াকে সম্মান জানিয়েই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবো’।